২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান- বিপিএম (বার) বলেছেন, ‘কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের ঘাম ঝড়ানো টাকায় আমরা বেতন রেশনসহ সকল সুবিধা ভোগ করে থাকি। সেই জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের একজন কর্মচারী হিসেবে নিজেকে পরিপূর্ণ সেবক হিসেবে নিয়োজিত রেখে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল মহানগরীর বন্দর থানাধীন টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে বিট পুলিশিং কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন পরবর্তী বিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার চাহিদা নিশ্চিত না হলে মানুষের মৌলিক চাহিদা অপূর্ণ রয়ে যায়। সেই নিরাপত্তার চাহিদা শতভাগ পূরণ করতে থানা এলাকায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত হয়ে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমই হচ্ছে বিট পুলিশিং।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সেবাদানে থানা যেমন আশ্রয়স্থল, তেমনি প্রতিটি বিট পুলিশিং কার্যালয় একেকটা সেবা স্থল। প্রতিটি বিট এলাকায় যদি নিষ্ঠার সাথে দুর্নীতিমুক্ত, নির্ভেজাল সেবা দিতে পারি অপরাধ সংগঠনের আগেই জনসম্পৃক্ততা নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে সত্যিকারের প্রতিরোধ গড়তে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের জনগণের পুলিশ হতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত কতিপয় পুলিশ রয়েছে, আমরা সেই পুলিশ চাই না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার জনবান্ধব পুলিশ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পুলিশ দেখতে চাই। কারো বিরুদ্ধে কোনো অপেশাদারিত্বের অভিযোগ পেলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে কোথাও কোনো পুলিশ অনিয়ম করছে কিনা তা জানতে বিভিন্ন অভিযোগ মাধ্যমসহ প্রতিটি থানায় প্রতিমাসে ওপেন হাউজ ডে’র ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ, জনগণকে সাথে নিয়ে জনবান্ধব পুলিশ উপহার দিতে চাই। মাননীয় আইজিপি মহোদয় এবিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এই বিট পুলিশি সেবার মাধ্যমেই জনগণ তাঁর কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ মোখতার হোসেন- পিপিএম (সেবা) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ আকরামুল হাসান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার) মোঃ আব্দুল হালিম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর থানা) প্রকৌশলী মোঃ শাহেদ আহমেদ চৌধুরী।